গভীর ভালোবাসার কবিতা Love Poem

গভীর ভালোবাসার কবিতা বলতে বোঝায়, যে কবিতায় মানুষের ভালবাসার, প্রেম, আবেগ, অনুভূতি, থাকে। ভালোবাসার কবিতাকে রোমান্টিক বা প্রেমের কবিতাও বলা যায়। ভালোবাসা হচ্ছে মানুষের অনুভূতি ও আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতার ফলাফল। ভালোবাসার সাথে নিঃস্বার্থতা,বন্ধুত্ব, মিলন, পারিবারিক বন্ধন, নিবিড় ভাবে জড়িয়ে থাকে। ভালোবাসার কবিতা মানুষের ভালবাসাকে জাগ্রত করে। মনকে ভেতর থেকে আনন্দ এবং খুশি রাখে।

কবিতা আমাদের অনেকেরই পছন্দের জায়গা। কবিতা লিখতে কিংবা পড়তে আমরা অনেকেই ভালবাসি। তা যদি হয় ভালোবাসার কবিতা তাহলে তো আর কথাই রইল না। যদি আপনার পছন্দের মানুষ আপনাকে ভালো না বাসে তাকে মিষ্টি একখানা প্রেমের কবিতা নিবেদন করতে পারেন, ততক্ষণাৎ তার ভালোবাসা আপনি পাবেন।

যে কবিতা আপনাদের ভালোবাসার মানুষকে খুশি রাখবে এবং সব সময় সন্তুষ্ট করতে পারবে। ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে এক নিমিষেই কিভাবে ভালোবাসা পাবেন সেই কবিতাই আজকে আপনাদেরকে উপহার দেব।

নিষ্পাপ ভালবাসা

পাহাড় থেকে নেমে এসে দাঁড়ালে, পর্বতের পাশে

মেঘ লেগে সারা গায়ে, ঠোঁটে।

হিমালয়ের নীল আকাশ মনের সাথে কথা বলে।

এসব সবই আমাদের মনের খেলা,

ঠিক যেমনই ভালোবাসার মানুষ নিত্যদিন প্রতিটি মানুষের সাথে খেলা করে!

যার স্বাভাবিক শুনলেও, আমাদের মন কাঁদিয়ে দেয়।।

তোমার অগোছালো দৃষ্টি,

আমায় নয় স্বর্গিক। ভালবাসার দিকে নিয়ে যায়।

ভোর হয়েছে স্বর্গ বিদীর্ণ করে দেয় সুদীর্ঘ সকাল।।

সাদা পারিজাত হতো না মনে হয়।

তোমাকে দেখার পর মনে হল এরপর থেকে ফুটবে।

মনে হওয়াও নয়| নয় অবভাস।

নিশ্চিত প্রত্যয় জানি

ফুটে থাকবে পর্বতে পর্বতে।

মানুষের থেকে দূরে,কচ্চিত দেখা মিলবে অনেক আরোহনে।

এসব না শুনেও তুমি হাসছো, স্কাফটা দুলছে। আমার হলো না ফেরা ।

আপাতত এক বুক ভরা সাহস নিয়ে সাঁতার কাটছে রাজহাঁস।

প্রেমিক

সে একদিন গাছ হয়েছিল..

শহরের অশ্রুত শব্দের মত

মস্ত মস্ত কুঠোর এসে তার হাত পা শিকল ভেঙে দিল-

তাই তার সমস্ত নীড় ভেঙে গেল।

সে একদিন পাখি হয়েছিল..

উড়তে উড়তে সে দেখেছিল

তার প্রেমাস্পন্দনের চোখে অন্য কারো ঠোট, ঠোঁটে অন্য কারো গাল-

তারপর তার সব পালক ঝরে পড়ে গেল।

সে একদিন বাঘ হয়েছিল,

মস্ত বড় এক হিংস্র বাঘ।

বহু সন্তর্পণে নজর রাখার শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পরেই..

সে তার চোখে দেখেছিল আতঙ্ক

রোদের কানে কানে ফিসফিসিয়ে কথা

দূরত্ব তোমার আমার মাঝখানে হাজারো

আর নয়ন ভরা অশ্রু।

তাই তার সমস্ত থাবার নখ এখন খসে গেছে।

প্রিয়জনের জন্য তার হৃদয় হয়েছে এখন ক্ষতবিক্ষত

যে হৃদয়ে রয়েছে এখন কান্না ভরা হিংস্রতা।

তোমার ভালোবাসার মানুষের জন্য
তোমার ভালোবাসার মানুষের জন্য

তোমার ভালোবাসার মানুষের জন্য

চিঠিতে আমায় মনে রেখো।

একখানা চিঠিই হবে আমার প্রশ্বাস

তোমার চিঠিতেই বাঁচবো আমি সারাটি জীবন

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কথা থেকে কথার সাগর বানাবো।

তোমায় নিয়ে চিত্র আঁকবো তার প্রতিফলন হবে,

চিঠি|

ছোট্ট একটি খামে, তোমার নাম করে রেখে দেবো।

হঠাৎ একদিন সেই চিঠি আমায় তোমাকে মনে করাবে।

আমাদের দুজনের প্রতিলিপি হয়ে থাকুক,

এই চিঠি।

আলতো উষ্ণ ছোঁয়া

আমার দেওয়া ফুলে ধুলো যদি লাগে ভুলে

আমার কথা কুসুম ম্লান হবে না কোন কালে…

জীবনের যত অভিমান ভুলায় তুমি,

ছুঁয়ে দিও আমারে তোমার কোমল হাতের ডালে।

তোমার রূপে আমি আপন হয়ে ঘুরেছি বিশ্ব মাঝে।

আজ তোমার রূপে সেজেছি আমি যাইব তোমার লোকে।

ভেদের প্রাচীর মিটায়েছি আজ..

অখিল বিশ্বে দেখি আপনারই রূপ

যেথা আমি সেথায় তুমি,

এক হয়েছি আজ দুজন।

শুধু তোমার জন্যে

চুলে লেগেছিল কয়েকটা বৃষ্টির ফোঁটা

সেদিন তোমার নাম রেখেছি গোলাপ

হারা ভারতবর্ষ হলো শান্তির নীড়

ঘর হয়ে উঠল অরণ্য বিভুই।

রোদের কানে কানে ফিসফিসিয়ে কথা

দূরত্ব তোমার আমার মাঝখানে হাজারো-

পলকহীন মাছের চোখের মতো..

স্বচ্ছ জল তুমি আর আমি স্পষ্ট সেদিকে তাকিয়ে।

তীব্র ভালোবাসা

চেয়ে আছি আমি দূর আকাশে, রাতের তারা দেখি

তুমি ছাড়া এ জীবনটা আমার শুধুই দিশেহারা।

আমাকে তুমি যতই দূরে রাখো তবুও কাছে আসবো,

কষ্ট তুমি যতই দেবে, আমায় তোমাতেই ভালোবাসবো।

চেয়ে দেখো দূর আকাশে চলছে অনেক তারা

প্রথম দেখায় তোমাকে আমার লেগেছে অনেক ভালো

তোমায় নিয়ে আমি চলে যাব ওই বহুদূরে

শুধু আমায় জায়গা দিয়েও তোমার মনের মনিকোঠায়।

স্বপ্ন আমি তোমায় নিয়ে বুকের মাঝে রাখি,

দিবানিশি তোমার ছবি আমার মনেই আঁকি।

চাঁদ হয়ে তুমি জ্বলে থাকবে, আমার মনের ঘরে

ভালোবাসা দিয়ে তোমায় রাখবো যতন করে।

হাতে হাত রেখে বলো,কোনদিন ছেড়ে যাবে নাকো

তোমায় ছাড়া এই জীবনে আমার কিছু আর নাইকো।

কাজে আমার মন বসে না, তোমার কথাই ভাবি

তুমি আমার জীবন মরণ তুমি আমার সাথী।

এই মনেতে তুমিই থাকো,আর থাকে না কেউ

আর শুধু তোমার জন্য বুকের মাঝে অকুল ঢেউ।

আজ আমায় তুমি কথা দাও ,যাবে না তো দূরে….

তুমি দূরে গেলে আমি হারাবো চিরদিনের তরে।

প্রেম আগুনে জ্বলে পুড়ে আমি যাচ্ছি মরে

কখন তুমি যতন করে, রাখবে আমায় মনের ঘরে।

আর কতকাল থাকবো একা? গুনবো কতদিন

ভালো থাকতে পারিনা আমি, কাটছে না আমার দিন

কখন দিবে তুমি সাড়া, আসবে আমার কাছে।

আমরা সবাই চাই আমাদের প্রিয়জনকে খুশি রাখতে। প্রিয়জনের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিতে আমাদের বেশ ভালই লাগে। প্রিয়জন যেন আমাদের কথায় খুশি থাকে আর আমাদের প্রতি যেন প্রিয়জনের মনে অনেক ভালোবাসা বাড়ে এটাই আমরা চাই মনে মনে সে নিয়েই আজকে আপনাদের জন্য এই কবিতাটা রইল।

শুধু তুমি

ওই আকাশটা নীলচে দেখো

ওই সাগরের সাথে কত মিল।

তোমার কেন? জানো ভালোবাসার জন্য।

অল্প অল্প মেঘ, হালকা হালকা বৃষ্টি হয়

ছোট্ট ছোট্ট গল্প থেকে, হাজারো ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

মাঝে মাঝে ক্ষমা করলে, সম্পর্কটাও মিষ্টি হয়।

এক ফোটা জল যদি কখনো আমার চোখ দিয়ে পড়ে,

সেই জলের ফোঁটা শুধু তোমার কথাই বলে।

মনের কথা কেন বোঝনা তুমি?

তাইতো আমি শত আঘাতের পরেও ভালবেসে যাই।

শীতের দিনে চাদর জড়িয়ে,যখন কুয়াশার মাঝে দাঁড়াও

হাত দুটো দাও বাড়িয়ে, শিশিরের শীতল স্পর্শে

যদি , শিহরিত হয় মন’

বুঝে নিও আমি আছি তোমার পাশে সারাটি জীবন।

চোখে আছে রাঙ্গা কাজল কানে আছেরকম বাহার দুল,

ঠোঁট যেন রক্তে রাঙা ফুল,

মুখে তার মিষ্টি রাঙানো হাসি,

এমন একজন মেয়েকে সত্যিই আমি ভালোবাসি।

কথা কম মুখে আলতো হাসি মন সারাক্ষণ চায় তোমার কাছেই আছি,

মেঘ চাই বৃষ্টি, চাঁদ চাই নিশি,

মন বলি আমি চাই তোমায় ভালোবাসি।

যত দূরে যায় না কেন আমি তোমার পাশেই আছি,

তাকিয়ে দেখো আকাশ পানে ঘুম না আসে চোখে,

কাছে আমায় পাবে তুমি হাত বাড়ালেই.

যদি না পাও জানবে তুমি সেদিন আমি আর নাই।

আমার দু চোখের স্বপ্ন তুমি,

রিমঝিম সুরে বৃষ্টির ধারা তুমি,

আমার হৃদয়ের ক্যানভাস তুমি,

তুমি আমার অপূর্ব সৃষ্টির আঁধার।

নতুন আলো, নতুন স্বপ্ন, নতুন ভালোবাসা,

মনে রেখো সারাটি জীবন তুমিই আমার আশা।

ভালোবাসার স্মৃতি

তোমার চোখে চোখ মিলিয়ে

নির্ভেজাল স্বপ্ন আঁকি

দুঃস্বপ্নে না উঁকি দিলে আজ

খেয়াল তাদের দিকে রেখো|

আপনেরা হয় স্বার্থপর

ঘুমও কেড়ে নেয়

আপন পর দুচোখে হাজারো স্মৃতি

স্বপ্নেরা তাই আজ বিস্তৃতি।

বন্ধু তোমায়

বন্ধু তোমায় ঠিক কি নামে ডাকি বলতো,

যে নামে ডাকলে তোমাতে আমি থাকবো,

যে নামে ডাকলে তোমার মুখে হাসি থাকবে সারাক্ষণ,

আমি তোমায় সেই নামেই ডাকবো, যে নামে সবাই তোমায় চিনবে।

বন্ধু তুমি একা হলে আমায় ডাক দিও,

সব ফেলে আসবো ছুটে, যতই থাকুক কাজ

যদি তুমি কষ্ট পাও, আমায় ভাগ দিও

শেয়ার করো আমার সাথে, হাতটি রেখো হাতে।

মেঘের হাতে একটি চিঠি

পাঠিয়ে দিও আমার জন্য,

অনেক দূরে যদি থাকি

তাও থাকবো তোমার সাথী হয়ে।

প্রেমহীন ভালবাসা

প্রেমহীন ভালবাসা সুখের আশ্বাসে

দীর্ঘ সংগমে রাত্রি জাগরণ শেষে

ক্লান্ত চোখ খুঁজে বেড়ায় আবারও সুখের প্রদীপ

হৃদয়ে প্রেম নেই শুধুই আছে ভালবাসা,

ক্ষণিকের জ্বালা-দ্বীপও।

প্রেম হীন দীর্ঘ রজনি চাই না আমি,

চাই না চোখ ধাঁধানো আলোর ঝিলিক-রশ্নি

স্বচ্ছ স্রোতস্বিনী জলের ন্যায় অবগাহনের জল চাই,

হোক নিভু নিভু ছোট্ট প্রেমের প্রদীপ

হোক না কয়েক পলক, হোক কিছু সময়

তবুও প্রেম থাকুক আমাদের মাঝে বেঁচে

গা-ছুঁয়ে যাওয়া ছোট্ট প্রহর,

দিবা-নিশি জেগে রই তোমারি মাঝে।।

আরোও পড়ুন

ভালোবাসার কবিতা খুঁজছেন? নিয়ে এসেছি 15টি এই বছরের নতুন কবিতা

অপেক্ষা একটা ভোরের

কাঠবিড়ালির ঠোঁটে ভর করে প্রতিদিন র্সুয ওঠে

চাতকের ছোট্ট ডানায় পাখা মেলে সজল বরষা আসে,

ভিজিয়ে দিয়ে যায় হৃদয়ের সব অলিন্দ।

চির নতুন, চির তরুন হয়ে বেঁচে থাকে

”সুন্দর” যা কিছু চিরন্তন।

অনিমেষ অপেক্ষায় থাকি।

স্মৃতির পাতায় খুঁজে নেওয়া প্রিয় মুখ, চেনা কণ্ঠস্বর

প্রিয় কিছু শব্দ যা চিরন্তন নতুন।

শুধু অপেক্ষা একটা ভোরের

ঘাসের বুকে জমে থাকা ছোট্ট অমলিন শিশির বিন্দু

যেন এক একটা সাত রঙা নিষ্পাপ পৃথিবী,

দরজায় কড়া নেড়ে জানান আমাকে ,

এই তো তোমার পৃথিবী, সব দিলাম।

এবার দুঃখ কষ্ট সব ভুলে যাও তুমি প্রিয়…………..

ভালবাসার সরল সংজ্ঞা

ভালবাসা।  এইতো তোমারি মাঝে আমার বাঁচা।

ভালোবাসা মানে তোমার মাঝেই বেঁচে থাকা

তোমার মাঝেই নিজেকে পাওয়া

তোমাকে ঘিরেই আমার নতুন জীবন।।

শিশুকাল থেকেই আলতো আলতু কথা বলতে শুরু হয়

তখনই আমরা মা বাবা বলতে শিখি।

তখন থেকেই আমাদের মনে পরিবারের মানুষের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি

ধীরে ধীরে শৈশব কাটিয়ে কৈশোরী পা দেওয়া

তারপরেই অপর একটি মানুষকে বিশ্বাস করতে শেখা

তার হাত ধরেই জীবনকে নতুন করে দেখা,

পরিণত বয়সে জীবনের কত ছবি আমরা একে চলি!

পরিণত বয়স থেকে বার্ধক্যে পা দেওয়া।

প্রিয় মানুষ, প্রিয় কথা, প্রিয় ঘর,সবকিছুই ধীরে ধীরে স্মৃতির খাতায় জমা হয়। ।

সারা জীবন আমরা ভালবাসায় বেঁচে থাকতে চাই

কিন্তু কতজনেরই বা ভালোবাসার আশা বাঁচে

প্রতিনিয়ত এই ভালোবাসার প্রতি আমরা মনোনিবেশ করি ।

কবিতাগুলো ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। কবিতাগুলো পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ও ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি? না জানলে বিপদে পড়তে পারেন

আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ২৮ টি

জনপ্রিয় বাংলা কবিতা- নতুন ভালো বাংলা কবিতা ২০টি

ভালোবাসার কবিতা পড়া কি খারাপ?

ভালোবাসা নিয়ে পৃথিবী চলছে। ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। খুঁজে পাওয়া যাবে না এই মানব সমাজ, জীব ও প্রাণি জগতের অস্তিত্ব। তাই সেই ভালোবাসাকে নিয়ে কবিতা- ভালোবাসার কবিতা- কখনোই খারাপ হতে পারে না।

শেয়ার করুন:
Titli Ray

আমি Titli Ray,,আমি ২০১৭ সাল থেকে লেখালেখির সঙ্গে এবং ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে জড়িত ও ভিডিও তৈরি করি। আমি আপনাদেরকে আমার অভিজ্ঞতা ও তথ্য শেয়ার করব। ধন্যবাদ।