শুধুমাত্র বড় চুল মানেই যে সুন্দর ,এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ( otirikto chul pora bondho korar upay )15 টি ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চলেন তাহলে আপনার চুল এক মাসেই পা পর্যন্ত লম্বা হবে এবং পুরোপুরি চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিলে ছোট মাঝারি লম্বা চুলকে ঝলমলে উজ্জ্বল লম্বা করে তোলা সম্ভব। ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চুলের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে অতি সহজে বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে পারেন। তাহলে চুল পড়ার সমস্যা একেবারেই দূর হবে।
প্রচলিত কথায় আছে কেশই বেশ। ঘন কালো মজবুত স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল সকলেরই চিরকালের বেশ পছন্দের। বর্তমানকালে সকলেই চুলে নানান ধরনের কালার করে থাকেন। অনেকে আবার কালো চুল সাদা, বেগুনি,লাল রঙেরও করে থাকেন। তবে চুলের রঙ যাই হোক না কেন, চুল যাতে ঘন,মজবুত এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয় তার জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নেওয়া উচিত। তাই চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি তুলে ধরলাম।
নীচের ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি পড়ুন এবং আপনার কাছে যেগুলি সুবিধাজনক মনে হচ্ছে সেই পদ্ধতিতে আপনার চুলের যত্ন নিন। সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করার পরেই আপনারা অনুভব করবেন চুল অনেক সুন্দর মজবুত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
Table of Contents
১.পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চুল
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এখন আপনার হাতের মুঠোয়। এজন্য মাথার চুলে জমে থাকা ধুলোবালি ভালো করে পরিষ্কার না করলে চুলের গোড়ায় ফাঙ্গাস হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ভালো করে মাসাজ করে শ্যাম্পু করা, যেন অবশ্যই হারবাল শ্যাম্পু হয় তাহলে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। শ্যাম্পু করার পর বাজারের কন্ডিশনার ব্যবহার না করে চুলকে ময়েশ্চার করার জন্য ঘরোয়া কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
ঘরোয়া উপায়ে শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর ও মজবুত হবে। এমনকি চুল ঘন হবে ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
কিভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন:
একটা বাটি কিংবা মগের মধ্যে জল নিয়ে তাতে শ্যাম্পু নেবেন। জল আর শ্যাম্পুকে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। মিশ্রণটা চুলের গোড়াতে ভালোভাবে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে লাগাবেন, তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
২.চুলের যত্নে নিমপাতা
নিম পাতা বহু গুণের সম্পন্ন একটি পাতা এই পাতা যেমন পেটের রোগ,ত্বকের রোগ সারিয়ে তুলতে পারে ঠিক তেমনি চুলের যত্নেও এর জুড়ি মেলা ভার।
নিম পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে ও ত্বকের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধি ও গ্রোথের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে নিম পাতা।
অতিরিক্ত চুল পড়া, কিংবা অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থাকে,এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে নিমপাতা। নিম পাতার মধ্যে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের অকালপক্কতার সমস্যা দূর করে চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
নিম পাতা নিন। চুলের লেন্থ অনুযায়ী প্রথমে নিম পাতা কে পেস্ট করে নিন এই পেজটি মাথার চুলের গোড়ায়১০ মিনিট মাসাজ করে মারতে থাকুন। তারপর নরমাল জল দিয়ে এক ঘন্টা পর ধুয়ে তোয়ালা দিয়ে মুছে নিন।
৩. চুলের যত্নে ভাত ও কাঁচা দুধ
রুক্ষ শুষ্ক চুল কারোরই ভালো লাগেনা এইসব সমস্যার সমাধান দুদিনেই হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান ঘরোয়া উপায়ে হতে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার বন্ধ করার উপায় হিসেবে কাঁচা দুধের ব্যবহার অপরিহার্য। চুল পড়ে যাওয়া চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুলের গোড়ার সমস্যা ডগা ফাটা নানান সমস্যার সমাধান দুদিনেই হয়ে যাবে। চুলে ভাত কন্ডিশনার এর কাজ করে,দুধ চুলকে নরম ও মজবুত করে।
কিভাবে উপকরণটি ব্যবহার করবেন:
ভাতের সাথে ১ চামচ পরিমাণ কাঁচা দুধ মিশিয়ে চুলের গোড়ায় পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন এবং চুলের আগায় পাঁচ মিনিট লাগাতে থাকুন। শুকনো হয়ে এলে নরমাল জল দিয়ে ধুয়ে একটা তোলার সাহায্যে মুছে নিন।
সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করার ফলে চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ঘরোয়া উপায়ে অবশ্যই চুলের যত্ন নেওয়া উচিত।
৪. চুলের যত্নে মেথি
চুল পড়ার সমস্যায় এবং চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার অপরিহার্য। অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে চুলের মেথি ব্যবহার করতে পারেন। মেথিতে থাকা প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ও নিকোটিন অ্যাসিড চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে মজবুত করে।
কিভাবে উপকরণটি ব্যবহার করবেন:
৫০ গ্রাম মেথি ১ গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল থেকে মেথি ছেকে নিন। জলটি সকালে খালি পেটে পান করুন পেট পরিষ্কার থাকবে। এবং তুলে রাখা মেথি একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে পেস্ট করে নিন। এই পেস্টটি চুলের গোড়ায় ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে মাখতে থাকুন এক ঘন্টার জন্য মেখে রেখে রেখে দিন তারপর নরমাল জলে চুল ধুয়ে নিন।
সপ্তাহে একদিন কিংবা দুইদিন মেথির এই পেস্টটি ব্যবহার করুন তারপরে আপনার চুল মজবুত,স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ও দ্বিগুণ লম্বা হবে।
৫.ফুলের যত্নে টক দই
টক দই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করতে সাহায্য করে যা চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য|করে চুলের ফলিকল কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
কিভাবে উপকরণটি ব্যবহার করবেন:
৩ টেবিল চামচ টক দই এর সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে হেয়ারমাক্স তৈরি করে নিন। এই হেয়ারমাক্স টি চুলের গোড়ায় ভালো করে পাঁচ মিনিট মাসাজ করুন তারপর এক ঘন্টা রেখে দিন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন তারপর একটা তলা দিয়ে চুল মুছে নিন।
সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে চুল স্বাস্থ্যজ্জল ও মজবুত হয়ে উঠবে।
৬. চুলের যত্নে নারিকেল তেল
নারকেল তেলের মধ্যে ফ্যাটি এসিড ও লাউরিক এসিড রয়েছে যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে নারকেল তেলের প্রাধান্য বিশেষ রয়েছে। এছাড়া নারিকেল তেল চুলের ফলিকলকে ময়েশ্চার করে এবং দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। ক্যাল্পে নারকেল তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। চুল খুব তাড়াতাড়ি লম্বা ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল ঘন হয়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
৩ চামচ নারকেল তেল হাফ উষ্ণ গরম করে নেবেন তারপর ভালো করে চুলের গোড়াতে মাসাজ করবেন। একটা চিরুনির সাহায্যে চুল আঁচড়ে নিয়ে চুল বেঁধে নেবেন। অবশ্যই হালকা করে চুল বাঁধবেন, টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় ক্ষতি হতে পারে।
৭. চুলের যত্নে আমলকি
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং খুশকি জমতে দেয় না।
আমলকির ভিটামিন সি অ্যান্টি-ফ্লেমেটরি এবং এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য খুস্কি এবং চুল পড়া বন্ধ করে চুলকে স্বাস্থ্যজ্জল করে তোলে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
১ টি আমলকি নিয়ে থেঁতো করে নিন তার রস বের করে মাথার চুলের গোড়াতে পাঁচ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করে মাখন এক ঘন্টা রেখে দিন। তারপর নরমাল জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং তোয়ালে দিয়ে ভালো করে চুল মুছে নেবেন।
৮. চুলের যত্নে ডিম ও কলার
চুল পড়া বন্ধ হওয়ার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ডিম ও কলার কোন তুলনা হয় না। চুল সিল্কি চুল পরা বন্ধ হওয়া চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া চুল ফেটে যাওয়া নানা সমস্যার সম্মুখীন যারা হয়েছেন তারা অবশ্যই ডিম ও কলা দিয়ে মাক্সটি ব্যবহার করুন সপ্তাহে একদিন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
১ টি পাকা কলা নিয়ে, পেস্ট করে নিন তার মধ্যে ১ টা ডিম নিয়ে ফাটিয়ে নিন। দুটি মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশে গেলে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করে লাগেনি। লাগানোর পদ্ধতিটা এমন হবে যাতে চুলের গোড়ায় ভালো করে মিশ্রণটি লাগে। এক ঘন্টা রেখে নরমাল জল দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন এবং একটি তলা দিয়ে চুল মুছে নেবেন।
৯.পেঁয়াজ দিয়ে চুলের যত্ন
পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুব ভালো। এই রস দিয়ে আপনি যেমন খুশকি দূর করতে পারবেন তেমন চুলের জেল্লা বাড়াতে পারবেন পেঁয়াজের রসের সালফার কোয়ারসেটিং চুলের ভীষণ উপকারী।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
১ টা পিঁয়াজ নিয়ে পিয়াজের থেকে রস বের করে নিন সেই রসের সঙ্গে ১ চামচ লেবু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ৫ মিনিট মাসাজ করুন 30 মিনিট রেখে নরমাল জলে ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল স্বাস্থ্যজ্জল হয়ে উঠবে।
১০.চুলের যত্নে রিঠা ফল
রিঠার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল আছে তাই চুলের গোড়া শক্ত করে ও খুশকি পুরোপুরি দূর করে। চুলের উজ্জ্বল্য বজায় রাখতে রিঠা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
পাঁচটা রিঠা নিয়ে ১ বাটি জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালে স্নান করার সময় ওই রিঠা জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন সপ্তাহে তিনদিন এরকম ভাবে রিঠা জল তুলে ব্যবহার করলে চুল উজ্জ্বল মজবুত ও চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
১১. চুলের যত্নে অ্যালোভেরা প্যাক
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। এলোভেরার মধ্যে রয়েছে অ্যালনিন নামের একটি উপকরণ এর সাহায্যে চুলের গোড়া শক্ত হয় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে অ্যালনিন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
১ চামচ এলোভেরা জেলের সাথে ২ চামচ টক দই নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন এই দুটি মিশ্রণ কে চুলের গোড়াতে ভালো করে মাসাজ করে লাগাতে থাকুন। চুলে লাগিয়ে আধঘন্টা পরে ভালো করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।
১২. মেহেদি পাতা দিয়ে চুলের যত্ন
চুলের বৃদ্ধিতে এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার জন্য মেহেন্দি পাতার উপকারিতা বহুলাংশে রয়েছে। মেহেন্দি পাতার সঙ্গে যে কোন একটি উপাদান মিশিয়ে আপনি চুলে ভালো করে লাগাতে পারেন।
৪ টেবিল চামচ মেহেন্দি গুড়ো সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো ১০ টেবিল চামচ জল ও ১ টি সাদা ডিমের অংশ ও ১ লেবুর রস মিশিয়ে ঘন করে পেস্ট তৈরি করুন এই পেজটি আপনার চুল পড়া একেবারেই বন্ধ করবে। এটি সপ্তাহে কিংবা ১৫ দিনে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
প্রথমে ভালো করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। তারপরে উপরের পাঁচটা মিশ্রণকে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়াতে মেসেজ করে মেখে নিন। মেখে নিয়ে আধ ঘন্টার মত চুলে রেখে দিন। তারপর ভালো করে চুল ধুয়ে হালকা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এইভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করলে আপনার কোন খরচ ছাড়াই চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
১৩.চাল ধোয়া জল চুলের যত্নে
চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার মাখার পর শেষবার চুল যদি ব্যবহার করুন চাল ধোয়া জল। অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে চাল ধোয়ার জলের উপকারিতা বহু অংশে রয়েছে। দেখে নিন আপনার কি কি উপকরণ লাগবে,
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
১ কাপ চাল ধোয়া জল, ১ কাপ টক দই, ১ চামচ লেবু রস সবগুলো মিশ্রণকে একটা পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটিকে চুলের গোড়াতে হালকা হাতে মাসাজ করুন। চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা রেখে দিন। তারপর নরমাল জল দিয়ে চুল ধরে নিন এইভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
( এছাড়া আরও পড়ুন: ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন 20 টি কার্যকরী হেয়ার কেয়ার টিপস )
১৪.চুলের যত্নে কফি পাউডার
দিন দিন আবহাওয়ার দূষিত হওয়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। আর এই দূষিত আবহাওয়ার কারণে মানুষের চুল অতিরিক্ত ঝরে পড়ছে চুল রক্ষা হয়ে যাচ্ছে, এরকম নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চুল অতিরিক্ত ঝরে যাওয়া বন্ধ করতে কফি পাউডার আজকেই ব্যবহার করুন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
এই প্যাকটি তৈরি করতে আপনাদের যে যে উপকরণ লাগবে তা হল, ১ চামচ কপি পাউডার, ১ চামচ জল ১ চামচ মধু তিনটে মিশ্রণ কে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর চুলের গোড়াতে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। এইভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলেই আপনার চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
১৫. হালকা গরম জলে লেবু দিয়ে চুলের যত্ন
চুলের গোড়ায় লেবুর রস ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি চুলের খুশকি ও দূর হয়।
কিভাবে ব্যবহার করবেন:
এক চামচ নারকেল তেল ও এক চামচ লেবুর রস একসাথে ভালো করে দুটি উপকরণকে মিশিয়ে নিন। তারপর হালকা হাতেই চুলের গড়ায় মাসাজ করুন এই ভাবে 15 মিনিট চুলে রেখে চুল ধুয়ে ফেললাম। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন এবং তার হাতেনাতে ফলাফল পাবেন।
Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলো মানতে sangbad10 কাউকে বাধ্য বা অনুরোধ করে না। নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন। ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
2 thoughts on “মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে? অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ১৫ টি”