আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরাই অনেক সময় ধরে পড়াশোনা করি কিন্তু পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্ত করার উপায় জানি না। শুধুমাত্র সময় নিয়ে পড়লেই হয় না, দ্রুত পড়া মুখস্থ করার উপায়(Fast way to memorize) জেনে পড়াশোনা করলে কোন চিন্তা ছাড়াই পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যায়। তাই আজকে আমি শিক্ষার্থীদের বলব পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য।
তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্থ করার উপায় জানতে আপনি যে অংশ পড়তে চান, নিন্মে সেই অংশে ক্লিক করুন
রিভিশন হল পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার অন্যতম উপায়
যদি আমরা কোন পড়া মুখস্ত করি সেই পড়া কিন্তু কিছুদিন পর আবার ভুলে যাই। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের নিয়ম করে পড়া রিভিশন না দেওয়া। পড়া রিভিশন দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনভাবে এটাও জানা জরুরী যে, রিভিশন কখন এবং কিভাবে দিতে হয়। তাহলে আমরা এখন আলোচনা করব রিভিশন দেওয়ার উপায় কি?
১. মনো বিজ্ঞানীদের মতে, আমরা যখন কোন পড়া মুখস্ত করি বা আত্মস্থ করি তখন সেই পড়াটি সাধারণত ২৪ ঘন্টা আমাদের ভালো মতন মনে থাকে। তাই পড়া মুখস্ত করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে একবার অবশ্যই রিভিশন দেওয়া দরকার। আবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিভিশন দেওয়ার পরে সেই পড়াটি প্রায় এক সপ্তাহের মতো অর্থাৎ সাত দিনের মতন মনে থাকে। তারপরে আবার পড়া ভুলতে থাকি।
২. তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিভিশন দেওয়ার পর আবারো সেই পড়াটি সাতদিনের মধ্যে একবার রিভিশন দেওয়া দরকার।
৩. এইভাবে সাতদিনের মধ্যে রিভিশন দেওয়া হলে- প্রথম যেদিন পড়া মুখস্ত করেছি সেই দিন থেকে প্রায় একমাস পড়াটি মনে থাকে। তাই এক মাসের মধ্যে আরো একবার রিভিশন দিতে হবে। এইভাবে যদি রিভিশন দেই তাহলে পড়াটি আরো পাঁচ-ছয় মাসের মতন মনে থাকবে।
তারপরেই দেখবেন আপনার পরীক্ষা চলে এসেছে। তাই পরীক্ষার জন্য তখন আলাদা করে রাত জেগে বেশি পরিশ্রম করে পড়ার প্রয়োজন হবে না। যখন তখন আপনি আপনার সমস্ত পড়াটি মনে করতে পারবেন। রিভিশন দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করুন অবশ্যই কাজে লাগবে আমি দীর্ঘকাল এই পদ্ধতি অনুসরণ করে দারুন ফল পেয়েছি।
সহজে পড়া মুখস্থ করার উপায়
বেশ কয়েকদিন আগে কলেজের লাইব্রেরীতে বসে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে চোখের বালি উপন্যাস পড়েছিলামসহজে পড়া মুখস্থ করার উপায় আজ প্রায় দশ দিন হয়ে গেল উপন্যাসের পুঙ্খানুপুঙ্খ সবকিছুই আমার মনে আছে। কিন্তু কালকে বাড়িতে একা বসে একটা গল্প পড়েছি। গল্পটার বেশ কিছু অংশই এবং চরিত্র বারবার পড়ার পরেও ভুলে গিয়েছি। প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাথেই এমন হয়। সহজে পড়া মুখস্থ করার উপায় হিসেবে আলোচনার বিশেষ প্রাধান্য রয়েছে।
পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য
সহজে পড়া মুখস্ত করার উপায় হিসেবে এটাও মনে রাখা উচিত আলোচনা করে পড়াশোনা করা পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য -এর অন্যতম একটি। তাই বাস্তবে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চাইলে বেশি সময় দিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার উপায় হিসেবে বেশ কিছু স্টাডি টিপস ফলো করে পড়াশোনা করতে হয়। আজকের এই পোস্টটি সকল শিক্ষার্থীদেরকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
পড়া মুখস্ত করার প্রয়োজন কেন হয়?
প্রতিটি শিক্ষার্থী চায় পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে। ভালো ফলাফল করার মূল চাবিকাঠি হল পড়া ভালো করে মুখস্ত করে মনে রেখে পরীক্ষার খাতায় সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা। তাই দ্রুত পড়া মুখস্থ করার উপায় অবশ্যই জানা উচিত।পড়া শুধু মুখস্থ করলেই হবে না সঠিক পদ্ধতি মেনে অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে।
কখন পড়লে পড়া বেশি মনে থাকে?
একাগ্র মনোযোগ সহকারে যে কোন পড়াশোনা করলে আমাদের ভালো করে পড়া মনে থাকে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমাদের ব্রেন একেবারেই ফ্রেশ এবং সতেজ থাকে। এই সময় পড়াশোনা করলে আমাদের পড়া খুব ভালো করে মুখস্থ হয়। সন্ধ্যেবেলা যখন আমরা পড়াশোনা করতে বসবো, তার আগে এক ঘন্টা কিংবা আধঘন্টা ঘুমিয়ে নিলে ব্রেন ফ্রেশ হয়ে যায় এবং সন্ধ্যেবেলার পড়াশোনা আমাদের বেশি করে মনে থাকে। মোদ্দা কথা আমাদের ব্রেইন যখন ফ্রেশ তরতাজা সতেজ থাকে সেই সময় আমরা যদি পড়াশুনা করি তাহলে কঠিন পড়াশোনাও খুব সহজেই মনে থেকে যায়। দ্রুত পড়া মুখস্থ করার উপায় হিসেবে এটি হল মূল চাবিকাঠি।
আবার অনেকেই মনে করেন, সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা এবং বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা এই সময় সব থেকে বেশি থাকে। এই সময় পড়াশোনা করলে ছাত্র-ছাত্রীদের সবথেকে বেশি মনে থাকে। আর সব থেকে বেশি মন চঞ্চল থাকে এই মাঝের সময়টাতে।
দিনে কত পৃষ্ঠা বই পড়া উচিত?
ছোটদের দিনে প্রতিটি বইয়ের ২ থেকে ৩ পৃষ্ঠা এবং বড়দের দিনে ১৫ থেকে ২০ পৃষ্ঠা পড়া বেশি কার্যকর হয়। কত পৃষ্ঠা থেকেও বড় কথা আপনি যতটুকু পড়বেন অবশ্যই মনোযোগ সহকারী করতে হবে।
কিভাবে তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত করা যায়?
ছোট থেকে বড় প্রতিটি শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পড়া মুখস্ত করার বিশেষ কতগুলি কৌশল রয়েছে। পড়া মনে রাখার উপায় কি ? কিভাবে পড়লে পড়া মনে থাকে ? কিভাবে পড়া মনে রাখা যায়? আপনি এই কৌশল গুলি জানলে অবশ্যই পড়া দ্রুত মুখস্ত করতে পারবেন।
পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার উপায়
অনেক সময় ধরে পড়া মুখস্থ করা অবশ্যই ভালো জিনিস কিন্তু অনেক সময় পড়েও যদি পড়া মুখস্থনা হয় আমাদের আর পড়ার ইচ্ছে থাকে না। তাই আপনি যদি কম সময়ের মধ্যে দ্রুত করা মুখস্থ করতে চান অবশ্যই আপনার এই কৌশল গুলি জানা উচিত।
- মনোযোগ সহকারে পড়ুন
- প্রতিটি পড়াকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন
- আগে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোকে চিহ্নিত করুন
- বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে পড়ুন
- জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে মনে রাখুন
- লিখে লিখে পড়ুন
- চিত্র সহকারে পড়ুন
- হেঁটে হেঁটে পড়ুন
- পড়ার সময় অবশ্যই থারমর্ম লিখে রাখুন
- প্রতিটি পড়াই গল্পের ছলে মনে রাখুন
- গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন
- ছন্দের মাধ্যমে পড়ুন
- রিভিশন দিন
- রেকর্ড করে পড়ুন
- প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম
- পড়ার পরে পরীক্ষা দেওয়া
- উপযুক্ত পরিবেশ
- মিডিয়াম ভলিউম এ পড়া
- বেশি সময় ধরে পড়া মুখস্ত করুন
মনোযোগ সহকারে পড়ুন:
পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার উপায় হিসেবে একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো মনোযোগ সহকারে পড়া। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজই যদি আমরা মন দিয়ে করি সেই কাজেই আমরা সাফল্যতা পাব। খুব পড়াশোনা কিংবা নিজের কাজ যে কোন ক্ষেত্রেই এটা সম্ভব। যখন আমরা পড়াশোনা করব কোনরকম ফোন টিভি কিংবা অন্য কোন কাজের দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না। একটা সময় একটাই কাজ যদি আমরা মন দিয়ে করি তাহলে সেই কাজে আমরা ভালো ফল পাব। তাই যখন আমরা পড়াশোনা করব তখন পড়াশোনার মধ্যেই মনোনিবেশ করব।
আগে গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোকে চিহ্নিত করুন:
ছোটদের কিংবা বড়দের যে কোন পড়া মনোযোগ সহকারে পড়তে বসার আগে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলোকে আগেই চিহ্নিত করে নিতে হবে। দরকার হলে পেন্সিল দিয়ে বই এর পাশে লিখে রাখুন বা দাগ দিয়ে রাখুন। এতে আপনার বোঝার সুবিধে হবে এবং দ্রুত পড়া মুখস্ত হবে।
প্রতিটি পড়াকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন:
পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য হল নিজের বড় পড়াগুলোকে সহজে মুখস্ত না হলে, ছোট ছোট অংশে ভাগ করে হেডলাইন করে নিজের মতো করে মনে রাখতে হবে। তাহলেই দ্রুত পড়া মুখস্থ হবে।
আমাদের ব্রেন অনেক সময় বড় বড় পড়াগুলোকে মনে রাখতে পারে না। কিন্তু যখনই তুমি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিয়ে হেডলাইন করবে তখনই পড়াগুলো খুব সহজেই তাড়াতাড়ি দীর্ঘদিনের জন্য তোমার মনে থাকবে।
বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে পড়ুন:
বড় বড় পড়া মুখস্থ করার সময় মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে পড়ুন। অনেক সময় একটানা পড়াশোনা করলে আমাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হয়। তাই বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে পড়াশোনা করলে পড়া ভালো মনে থাকে এবং সহজে পড়া মুখস্ত হয়। মনোবিজ্ঞানীদের মতে পড়ার সময় প্রত্যেক এক ঘন্টায় অন্তত কমপক্ষে পাঁচ মিনিট বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। তবে এই বিশ্রামের সময় টিভি দেখা বা রোমাঞ্চকর জিনিস উপভোগ করা চলবে না।
জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে মনে রাখুন:
আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে কাজগুলো করি সেই কাজগুলো আমরা সহজেই মনে রাখতে পারি। কোনোভাবেই কোন কষ্ট কিংবা জোর করে মনে রাখতে হয় না এগুলো আমাদের। পড়াশোনা যেহেতু আমরা অনেকেই জোর করে কিংবা কষ্ট করে মনে রাখি তাই প্রতিটি পড়ার সাথে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তুলনা করে মনে রাখুন। তাহলে খুব সহজেই পড়া আমাদের দীর্ঘদিনের জন্য মনে থেকে যায় এবং তার ফলে আমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পেতে পারি।
লিখে লিখে পড়ুন:
দ্রুত পড়া মুখস্ত করার উপায় হিসেবে অসাধারণ একটি কাজ হল লিখে লিখে পড়া। আপনি যে বিষয়টা বারবার মুখস্ত করছেন সেটি মুখস্থ করার পর একবার লিখে ফেলুন তাহলেই দেখবেন দীর্ঘদিনের জন্য পড়াটি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে। পরীক্ষার খাতায় পড়া ভুলে না গিয়ে প্রশ্নের উত্তর ভালো করে লিখতে পারবে।
চিত্র সহকারে পড়ুন:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন আমরা যাহা পড়ি তাহা যদি আমরা কল্পনা করতে পারি তাহলে সেই পড়াটা অনেক বেশি মনে থাকে।দীর্ঘ সময় ধরে পড়া মুখস্ত করার পরেও আমাদের পড়া মনে থাকে না। কিন্তু সেই পড়াই যখন ভালো করে পড়ে নিয়ে খাতায় একটা ছবি এঁকে মস্তিষ্কে সেই ছবি এঁকে নিই তাহলেও আমাদের দীর্ঘদিনের জন্য সেই পড়া মনে থাকবে এবং তার ফলে আপনারা পরীক্ষার খাতায় খুব ভালো লিখে ভালো ফলাফল করতে পারবেন। দ্রুত পড়া মনে রাখার উপায় হিসেবে চিত্র সহকারে পড়াশোনার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
হেঁটে হেঁটে পড়ুন:
একসাথে টানা অনেক সময় পড়াশোনা করতে কারোরই ভালো লাগেনা। তাই অনেক সময় যদি পড়তে আপনার ভালো না লাগে তখন বাইরে থেকে হেঁটে আসুন কিংবা এর বাড়িতে থাকা কারো সাথে একটু কথা বলে পুনরায় পড়তে বসুন। এর ফলে যে কোন তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত হবে এবং দীর্ঘদিন মনে থাকবে।
পড়ার সময় অবশ্যই সারমর্ম লিখে রাখুন:
পাঠ্য বইগুলোর বড় বড় অংশ আমাদের মনে রাখতে অনেক সময় অসুবিধে হয়। তাই বড় বড় অংশগুলোর সারমর্ম খাতায় লিখে রাখলে সেই পড়া খুব সহজেই আপনারা মনে রাখতে পারবেন।
প্রতিটি পড়াই গল্পের ছলে মনে রাখুন:
দ্রুত পড়া মুখস্থ করার উপায় হিসেবে একটি উল্লেখযোগ্য বিকল্প পদ্ধতি হলো গল্পের গল্পের ছলে পড়া মুখস্থ করা। কোন গল্প বা কাহিনী আমরা করলে গল্পের ছলে পড়লে অনেকদিন আপনাদের সেই গল্প মনে থাকবে। তাই পড়া মুখস্থ করার জন্য আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এটি পড়া মুখস্ত করার অসাধারণ একটি কৌশল।
গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন:
তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত করার কৌশল হিসাবে গ্রুপ স্টাডির প্রাধান্য অনেকাংশেই রয়েছে। যে সব পড়া বাড়িতে আমরা একা বসে পড়লে মনে রাখতে পারি না সেই সব পড়া যদি বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করে গল্পের ছলে আমরা পড়ি সেই পড়া দীর্ঘদিন এবং তাড়াতাড়ি আপনারা মুখস্থ করে ফেলতে পারবেন।
আলোচনার মাধ্যমে পাঠ্য বই ছাড়াও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং পাঠ্য বইয়ের পড়াশোনা কিভাবে কম সময়ের মধ্যে ভালো করে মনে রাখা যায় গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে এগুলো আমরা বিশেষভাবে জানতে পারি এবং সহজেই পড়া আমাদের বোধগম্য হয়।
ছন্দের মাধ্যমে পড়ুন:
ছোটবেলাতে অনেক কিছুই গল্পের বই পড়েছি সেগুলো মনে না থাকলেও যেমন ধরো ছোট ছোট কবিতা কিংবা ছড়া অতি সহজেই আমাদের মনে আছে তাই গল্পের মত না পড়ে যদি ছড়ার আকারে কিংবা ছন্দের আকারে আমরা পড়ি তাহলে দীর্ঘদিন মনে থাকবে আর তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত হয়ে যাবে। ছন্দের মাধ্যমে পড়া তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্ত করার একটি বিশেষ উপায়। তাই একটু খেয়াল করে দেখবেন ছোটবেলায় পড়া আমাদের অনেক ছড়া বেশ মনে আছে যেমন- আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মৌ, আবার খোকা যাবে মাছ খির নদীর কুলে ইত্যাদি। কিন্তু গল্পগুলো বিশেষ মনে নেই। তাই ছন্দের মাধ্যমে পড়লে, পড়া আমাদের দীর্ঘস্থায়ী হয় ও সহজে রপ্ত করা যায়।
রিভিশন দিন:
একটি পড়া অতি সহজে আপনারা মনে রাখতে পারবেন রিভিশনের মাধ্যমে। দ্রুত পড়া মুখস্ত করার উপায় হিসেবে একটি অত্যাবশ্যক মাধ্যম হল রিভিশন দিয়ে পড়া। যে পড়া মনে থাকে না সেই পড়ায় যদি বারবার রিভিসান দিয়ে পড়া যায় তাহলে অতি সহজেই আমাদের মস্তিষ্কে অক্ষত ভাবে থাকবে। রিভিশন দেওয়ার পদ্ধতি উপরে বলে দেওয়া হয়েছে।
রেকর্ড করে পড়ুন:
একটি পড়া যদি বারবার পড়ার পরেও ভুলে যান, তাহলে অতি অবশ্যই রেকর্ডের মাধ্যমে পড়ুন। কারণ অডিও শুনলে সেই পড়া আমাদের মনে থাকে বেশি দিন। আর দ্রুত পড়া মুখস্থ করার জন্য অবশ্যই রেকর্ডের মাধ্যমে দিনে একবার পড়ুন। তাহলে অতি অবশ্যই আপনি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারবেন।
প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম:
পড়াশোনা মনে রাখার জন্য যেটি আমাদের অত্যাবশ্যক প্রয়োজন সেটা হলো সারাদিনের পর্যাপ্ত ঘুম। কারণ শরীর ভালো না থাকলে আমাদের মন ভালো থাকে না। আর মন ভালো না থাকলে কোন পড়াই আমাদের মনে থাকবে না আর মাথায়ও ঢুকবে না।
পর্যাপ্ত ঘুম হলে আমাদের মস্তিষ্ক হতে এবং ফ্রেশ থাকে তখন আমরা কোন পড়াশোনা কিংবা কাজ করলে সেই কাজ ভালো হয়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের পর যদি আপনি কোন পড়া মুখস্ত করেন সেই পড়া দ্রুত মুখস্থ হবে এবং দীর্ঘদিন আপনার মনে থাকবে।
পড়ার পরে পরীক্ষা দেওয়া:
করার পরে অবশ্যই নিজের মতো করে একটি প্রশ্ন বানিয়ে উত্তর লিখুন। তাহলে আপনি আপনার নিজের পরীক্ষা নিজের জানার পরিসর বাড়বে এবং জানার আগ্রহ বাড়বে যার ফলে আপনি পরীক্ষায় খুব সহজেই ভালো ফলাফল করতে পারবেন।
উপযুক্ত পরিবেশ:
তাড়াতাড়ি পড়া মুখস্থ করার উপায় হিসাবে একদিন কৌশল হল পরিবেশ। কারণ একটি শিক্ষার্থী পরিবার এবং পরিবেশ থেকেই গ্রহণ করে। তাই শান্ত নিরিবিলি পড়াশোনা পরিবেশ হলে শিক্ষার্থী অতি সহজেই করা মুখস্থ করতে পারে এবং দীর্ঘদিন পড়া মনে রাখতে পারে।
মিডিয়াম ভলিউম এ পড়া:
খুব আস্তে কিংবা খুব জোরে পড়াশোনা করলে পড়াশোনা আমাদের মাথায় ঢোকে না। তবে যদি মিডিয়াম ভলিউম নিয়ে পড়াশোনা করা যায় তাহলে সেই পড়া আমাদের মস্তিষ্কে অনেক দিন থাকে এবং দ্রুত পড়া মুখস্ত হয়।
বেশি সময় ধরে পড়া মুখস্ত করুন:
পড়া মনে রাখার অন্য একটি উপায় হল- বেশিক্ষণ ধরে পড়া। যে কোন পড়া মনে রাখতে গেলে আমরা যদি বারবার করে সেই পড়াটি পড়তে থাকি তাহলে আমাদের সাবকনশিয়াস মাইন্ড অর্থাৎ অবচেতন মনে সেই পড়াটি স্থায়ী হয়ে যায়। তাই একই পড়া বারবার করে পড়লে এবং নিয়ম মেনে রিভিশন দিলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি মুখস্ত হবে।
পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার উপরের উপায় গুলি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আরো জানুন
কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল ইতিহাস- মৃৎশিল্প ও শিল্পী
আজও ২০২৪ সালে কি নেতাজিসুভাষ চন্দ্র বসু বেঁচে আছেন? জেনে নিন
জানলে অবাক হবেন ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস কেন পালিত হয়
ইতিহাসের সাল মুখস্ত করার সহজ উপায় আছে কি?
ইতিহাসের সাল মুখস্ত করার সহজ উপায় অবশ্যই আছে- প্রথমত ধারাবাহিক ঘটনা অনুসারে পড়লে সাল মনে থাকে কিন্তু আমরা সচরাচর সাল মুখস্ত করে থাকি। আরেকটি পদ্ধতি আছে, সেই পদ্ধতি জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করুন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে আমি জানাবো। সাল মনে রাখার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর সেই পদ্ধতিটি।
3 thoughts on “পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ করার উপায়-পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য জেনে নিন”