গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ও ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি? না জানলে বিপদে পড়তে পারেন

আপনি যদি না জানেন গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়? অথবা ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি? তাহলে কিন্তু বিপদে পড়তে পারেন। সকালে দুপুরে বিকেলে এমন কি রাত্রেও মুড়ি খাওয়া আমাদের মধ্যে বিশেষ প্রচলন আছে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি? রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা না জেনেই ওজন কমানোর জন্য মুড়ি খেয়ে থাকি কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মুড়ি খেলে কি ওজন কমে? এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব আজকের এই প্রতিবেদনে।

মুড়ির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

মুড়িতে কত ক্যালরি আছে?

প্রথমেই আমরা দেখে নেব মুড়িতে কত ক্যালরি আছে? বা মুড়িতে কি পরিমান খাদ্য গুন থাকে। প্রতি 100 গ্রাম মুড়িতে যে খাদ্যগুণ আছে তা আলোচনা করা হলো—– ক্যালরি ৪০০ ক্যালরি, ফ্যাট ০.৫ গ্রাম, শর্করা ৮৯ গ্রাম, প্রোটিন ৬.৫ গ্রাম, কোলেস্টেরল নেই। ক্যালসিয়াম ৬ মি.গ্রা. , ফসফরাস ৬ মি.গ্রা. , সোডিয়াম ৬ মি.গ্রা.

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়- What happens when you eat muri during pregnancy?

মুড়ি আমাদের কমবেশি সকলেরই খেতে ভালো লাগে। মুড়ি সহজ-পাচ্য সুতরাং মুড়ি আমাদের সহজে হজম হয়ে যায়। তাই আমরা পছন্দ না হলেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই মুড়ি খেতে পছন্দ করি। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভচলাকালীন অবস্থায় নানান ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি অসুবিধা হলো গ্যাস এসিডের সমস্যা। এই গ্যাস এসিডের সমস্যা কাটাতে মুড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়া যাবে কি?

এখন আমাদের মনে বড় প্রশ্ন জাগতে পারে গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়া যাবে কি বা গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কোন সমস্যা হবে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলি মুড়ি বহু খাদ্যগুনে সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। আর গর্ভাবস্থায় মায়েদের অনেক পুষ্টির দরকার, এই সময় নারীদের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, শরীরও ঠিক ভালো থাকে না। তাই মুড়ি খেলে সে ঘাটতিগুলি অনেকটাই পূর্ণ হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের বিপদে পরার মতন কোন খাদ্য উপাদান মুড়ির মধ্যে নেই।

গর্ভবতী মায়েরা অবশ্যই মনে রাখবে আপনার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তানও মুড়ির খাদ্যগুণ পাবে। তাই অন্যান্য খাবারের সঙ্গে আপনি মুড়িও যুক্ত করতে পারেন আপনার খাদ্য তালিকায়। এছাড়া মুড়িতে থাকা ফসফরাস ও সোডিয়াম শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুড়িতে যে একেবারে প্রোটিন থাকে না, একথা সত্য নয়। মুড়িতে যে পরিমাণ প্রোটিন থাকে তাও আমাদের শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মুড়ি খেতেও যেমন খুব স্বাদের তেমনি খুব সহজেই হজম হয়। এই মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক

যেমন–

মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা:
১. গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
২. গর্ভাবস্থায় শক্তি জোগাতে মুড়ি
৩. গর্ভাবস্থায় হাড় গঠন করতে মুড়ির ভূমিকা
৪. গর্ভাবস্থায় পেশি গঠন করতে মুড়ির ভূমিকা
৫. কোলেস্টেরল প্রতিরোধে মুড়ির ভূমিকা
৬. ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি
৭. মুড়ি খেলে কি ওজন কমে
৮. মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে
৯. শুকনো মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
১০. রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
মুড়ির খাওয়ার সমস্ত উপকারিতা নিম্নে বিশদে আলোচনা করা হলো—-

১. গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা

মুড়ির ভালো গুণের কথা আমরা একটু আগেও আলোচনা করেছি। মুড়িতে যে খাদ্যগুণ রয়েছে তার পরিমাণও আমি উল্লেখ করেছি। এবার আমরা দেখে নেব গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা কি——

২. গর্ভাবস্থায় শক্তি জোগাতে মুড়ি

গর্ভাবস্থায় শক্তি জোগাতে মুড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুড়িতে থাকা ক্যালরী বা কার্বোহাইডেট আপনাকে শক্তি জোগাবে। গর্ভাবস্থায় আপনার প্রয়োজনীয় ক্যালোরির অনেকটাই মেটাতে সাহায্য করবে মুড়ি। যখনই আপনার খিদে পাবে আপনি কিছু সবজির সাথে মুড়ি খেতে পারেন এছাড়া ছোলা বাদাম এগুলো দিয়েও মুড়ি খেতে পারেন। তবে চানাচুর দিয়ে মুড়ি না খাওয়াই ভালো।

৩. গর্ভাবস্থায় হাড় গঠন করতে মুড়ির ভূমিকা

মুড়িতে থাকা প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ আপনার বাচ্চাকে গর্ভের মধ্যে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং তাকে খনিজ লবণের ঘাটতি থেকে অনেকটাই রক্ষা করবে। মুড়িতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন কার্যে সাহায্য করবে। আপনার সঙ্গে সঙ্গে আপনার বাচ্চার হাড়ও গঠনে মুড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

৪. গর্ভাবস্থায় পেশি গঠন করতে মুড়ির ভূমিকা

মুড়িতে খনিজ লবণ যেমন থাকে, তেমন প্রোটিন থাকে প্রায় 6.5%, আমরা সকলেই জানি প্রোটিন আমাদের পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই খুব বেশি প্রোটিন না থাকলেও ৬.৫% প্রোটিন আপনার ও আপনার সন্তানের পেশি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে মুড়ি। তাই মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন না। অবশ্যই মুড়ি খাবেন।

৫. কোলেস্টেরল প্রতিরোধে মুড়ির ভূমিকা

আধুনিক দৈনন্দিন জীবনযাপনে আমাদের সুস্থ থাকার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হচ্ছে কোলেস্টেরল। এই কোলেস্টেরলের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোক হয়ে আহত হচ্ছে ও নিহত হচ্ছে। আমাদের অনিয়মিত জীবনযাপন আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিন্তু মুড়িতে কোলেস্টেরল জাতীয় কোন খাদ্য উপাদান থাকে না, তাই আপনি নিয়ম করে পরিমাণ মতো মুড়ি খেতেই পারেন।

৬. ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি- Can you eat muri in diabetes?

আমাদের আধুনিক জীবনযাপন যত বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস বা সুগারের প্রবলেম ততই বেড়ে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি? প্রথমত বলে রাখি আমাদের শরীরের রক্তে Glucose বা চিনির পরিমাণ বেশি বেড়ে গেলে তাকে ডায়াবেটিসের রোগী বা সুগারের রোগী বলে ধরা হয়।

মুড়িতে যেহেতু অল্প বিস্তর ফাইবার থাকে তাই অন্যান্য খাবারের মতন দ্রুত হজম না হয়ে, মুড়ি আমাদের শরীরে আস্তে আস্তে হজম হতে থাকে। তাই দ্রুত আমাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীরাও অল্প পরিমাণ মতো মুড়ি অবশ্যই খেতে পারে। তাতে বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না।

৭. মুড়ি খেলে কি ওজন কমে

ওজন বেড়ে যাওয়া আমাদের বর্তমান জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। ওজন বাড়ার কারণে আমাদের শরীরে আসতে পারে নানান ধরনের সমস্যা। ওজন বেড়ে গেলে যেমন চলতে ফিরতো অসুবিধা হয় তেমনি শরীরের মধ্যে বাধে নানান ধরনের রোগ।

তাই আমরা সকলেই চেষ্টা করি যাতে আমাদের ওজন অতিরিক্ত না বেড়ে যায় । আর এই ওজন কমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা গ্রহন করে মুড়ি। কারণ মুড়িতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর ফাইবার জাতীয় খাবার আমাদের হজম হতে একটু বেশি সময় নেয়। তাই মুড়ি খেলে আমাদের আস্তে আস্তে শরীরের মধ্যে হজম হয়। যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৮. মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে

এখন অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্রথমে জানতে হবে মুড়ির মধ্যে এমন কি কোনো খাদ্য উপাদান আছে যা আপনার ওজনকে বাড়াতে পারে?———

পূর্বেই আলোচনা করেছি, প্রতি 100 গ্রাম মুড়িতে থাকে প্রায় 402 ক্যালরি এবং ফ্যাট বা চর্বি 0.5 গ্রাম ও শর্করা থাকে 89 গ্রাম । ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের ক্যালরি ফ্যাক্টর খুব বেশি কাজ করে। যেমন ধরুন একজন সুস্থ সবল মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রতিদিন ২০০০ ক্যালোরি দরকার হয় কিন্তু সে যদি এর বেশি পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে নেয় এবং সেটাকে সে শারীরিক পরিশ্রমের দ্বারা খরচ না করে তাহলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে।

৯. রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের সারাদিনের নানান ধরনের মুখরোচক খাবার খেয়ে অনেক সময় রাত্রেবেলা আর কিছু খেতে ইচ্ছে করেনা। আবার অনেক সময় সারাদিনের উল্টোপাল্টা খাবারের ফলে রাত্রেবেলা এসিড হয়ে যায়। এই এসিডের জন্য আমাদের রাতে কিছু খেতেও ইচ্ছা করে না। কারণ ভাবি আবার না অ্যাসিড হয়ে যায়? আবার অন্যদিকে এই এসিড নিয়ে ঘুমানো মোটেও ভালো নয়। তাই এই দুই সমস্যার সমাধানের জন্য রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতার বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না।

রাতে মুড়ি খেলে- মুড়ি পেটের ভিতরে থাকা এসিড শুষে নেয়। ফলে আমরা যেমন অ্যাসিড থেকেও অনেকটা রক্ষা পাই, আবার আমাদের পেটও ভরে যায়। তবে বেশি এসিড হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন।

১০. শুকনো মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেক সময় শুকনো মুড়ি খেয়ে থাকি কারণ শুকনো মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শুকনো মুড়ি খেলে যেমন আমাদের পেট ভরে তেমনি গ্যাস অ্যাসিড এর সমস্যা হওয়ার ভয় নেই । এমন কি অনেক সময় গ্যাস এসিড হলে শুকনো মুড়ি ভালো করে চিবিয়ে খেলে গ্যাস এসিড অনেকটাই কমে যায়। তবে আগেও বলেছি বেশি এসিড হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন।

মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা

মুড়িতে এই সব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও মুড়ি খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা গ্রহণ করা উচিত কারণ মুড়ির উপকারিতার সঙ্গে সঙ্গে মুড়ি খাওয়ার কিছু অপকারিতাও আছে–

১. পালিশ করা চালের মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা

মুড়ি খাওয়ার সময় আমাদের এটা খেয়াল রাখতে হবে মুড়ি তৈরি হয় চাল থেকে। আর যে চাল থেকে মুড়ি তৈরি হয়েছে সেই চালের গুনাগুনও বিচার করা প্রয়োজন। কারণ বাজারে এখন পালিশ করা অনেক চাল পাওয়া যায়। সেই চাল দিয়ে মুড়ি তৈরি করলে চালের পুষ্টিগুণ ভালো মতন আমাদের শরীর পায় না।

২. রাসায়নিক সার দিয়ে তৈরি মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা

আবার মুড়ি ভাজার সময় অনেক জায়গায় রাসায়নিক সার, বিশেষ করে ইউরিয়া মেশানো হয়। যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই মুড়ি বাজার থেকে কিনে খেলে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। না হলে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ।

৩. বেশি মুড়ি খাওয়ার অপকারিতায় ওজন বৃদ্ধি

মুড়ি খাওয়ার সময় এটাও মনে রাখার দরকার মুড়ি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাবার হলেও কখনোই খুব বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। বেশি মুড়ি খেলে আমাদের শরীরে বেশি পরিমাণ শর্করা চলে যাবে ফলে আমাদের ওজন ও বৃদ্ধি পেতে পারে

৪. মুড়ি খাওয়ার অপকারিতায় অ্যালার্জি

মুড়ি খেলে এলার্জি হয়না। তবে মুড়ি যদি রাসায়নিক সার দিয়ে তৈরি হয় সেক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন হয় তেমনি যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে। তাই রাসায়নিক সার দেওয়া মুড়ি খাওয়া হইতে সাবধান।

মুড়ি খাওয়ার অপকারিতায় হাই প্রেসার

মুড়ি যখন তৈরি হয় তখন তাতে লবণ মেশানো হয়। কিন্তু লবণের পরিমাণ যদি অত্যাধিক হয়ে যায়, তাহলে বেশি লবণযুক্ত মুড়ি হাই প্রেসারের রোগীদের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাই মুড়ি খাওয়ার ক্ষেত্রে মুড়ির লবণের মাত্রা অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।

৫. ডায়াবেটিস(Diabetes) বা সুগারের রোগীদের মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা

পূর্বেই বলেছি ডায়াবেটিসের রোগীরা অবশ্যই মুড়ি খেতে পারবেন। তবে তা মাত্রা অতিরিক্ত নয়। কারণ বেশি পরিমাণ মুড়ি খেলে শরীরে glucose এর পরিমাণ বেশি বেড়ে যেতে পারে। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা মুড়ি খাওয়ার সময় এই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। পরিমানমতো মুড়ি খাবেন, বেশি নয়।

আরো পড়ুন: আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ২৮ টি

গভীর ভালোবাসার কবিতা Love Poem

৬. শুকনো মুড়ি খাওয়ার অপকারিতা

আমরা জানি খাবার সব সময় ভালো করে চিবিয়ে খেতে। হয় না হলে তা হজমেও অসুবিধা হয়। আবার খাবারের পুষ্টিগণও আমাদের শরীর ভালো করে পায় না। তাই শুকনো মুড়ি খাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে, না হলে খাবারের পুষ্টিগুন আমাদের শরীর ভালো করে পাবে না। আবার শুকনো মুড়ি ভালো করে না চিবিয়ে খেলে গলায় আটকেও যেতে পারে। সেক্ষেত্র হতে পারে আবার অন্য বিপদ।

৭. ছোট বাচ্চাদের শুকনো মুড়ি খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা বা অপকারিতা

শুকনো মুড়ি ভালো করে চিবিয়ে খেতে হয়, না হলে মুড়ি যেমন গলায় লেগে যেতে পারে আবার মুড়ি হজমের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হতে পারে। বাচ্চারা যেহেতু অনেক সময় ভালো করে চিবিয়ে খায় না, তাই বাচ্চারা যখন মুড়ি খায় তখন তাকে অবশ্যই বোঝানো উচিত মুড়ি যেনো ভালো করে চিবিয়ে খায়। না হলে মুড়ি বাচ্চাদের গলায় লেগে অসুবিধা হতে পারে।

৮. মুড়ি খাওয়ার অপকারিতায় কিডনিতে পাথর

কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড় শক্ত করে এবং হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। কিন্তু মুড়িতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে তাই অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম আপনার কিডনিতে পাথর তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। তাই অতিরিক্ত মুড়ি খেলে কিডনিতে পাথরের সমস্যা হতে পারে। তাই অত্যাধিক মুড়ি খাওয়া হইতে বিরত থাকুন।

উপরের সমস্যাগুলো যদি এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে মুড়ি বাঙ্গালীদের যে একটি ভালো ও পছন্দের খাবার সেটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলো মানতে sangbad10 কাউকে বাধ্য বা অনুরোধ করে না। নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন। ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আর কোন প্রশ্ন আছে কি?

মুড়ির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপরে দেওয়া হয়েছে। যদি মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা বা মুড়ির বিষয়ে কোন প্রশ্ন আপনাদের জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ।

শেয়ার করুন:
Titli Ray

আমি Titli Ray,,আমি ২০১৭ সাল থেকে লেখালেখির সঙ্গে এবং ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে জড়িত ও ভিডিও তৈরি করি। আমি আপনাদেরকে আমার অভিজ্ঞতা ও তথ্য শেয়ার করব। ধন্যবাদ।

5 thoughts on “গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ও ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি? না জানলে বিপদে পড়তে পারেন”

Leave a comment