গ্রাম বাংলায় বহুল প্রচলিত ফল হল আমলকি। সেই আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ২৮ টি ( amloki khaoar niyom o upokarita ) ও আমলকির ক্ষতিকর দিক নিয়েই আজকে আমি আপনাদের সাথে বিস্তৃত আলোচনা করব। এই আমলকির উপকারিতা কতখানি রয়েছে তা আমাদের ভাবনার অতীত। চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা, ত্বকের জন্য আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ। আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা দুইই রয়েছে। আমলকি চেনেনা এমন মানুষ আমাদের দেশে কমই আছেন। আজকে আপনারা জানতে পারবেন আমলকির উপকারিতা আমরা কি কিভাবে পেয়ে থাকি।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা আমাদের শরীরে বহু অংশে রয়েছে। আমলকির বৈজ্ঞানিক নাম হল Phyllanthus emblica ফাইলান্থাসি পরিবারের একপ্রকার ভেষজ ফল এই আমলকি। সংস্কৃত ভাষায় আমলকির নাম হল ‘আমলক’। এই আমলকী মূলত টক স্বাদের হয়। ভারতবর্ষে ছাড়াও বিদেশে এই আমলকির উপকারিতা অনেকেই জানেন।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্বন্ধে এই আর্টিকেল এর সংক্ষিপ্ত তথ্য
আমলকি গাছের বর্ণনা (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
পাতা ঝরা প্রকৃতির। হালকা সবুজ পাতা। স্ত্রী ও পুরুষফুল একই গাছে ধরে। আমলকি ফল হালকা সবুজ বা হলুদ ও গোলাকৃতি ব্যাস হয়। কাঠ লাল বা বাদামি লাল রংয়ের হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই এই আমলকি গাদেখা যায়। আমলকি গাছে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফল হয়। আমলকি গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় হলেও বর্ষাকাল।
আমলকির ব্যবহার (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা রোজকার জীবনেই রয়েছে। চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা, ত্বকের জন্য আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ। আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ।
- চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা রয়েছে অনেক। কাঁচা আমলকী বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।
- আমলকীর ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক।
- ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়।
- আমলকীতে অন্যান্য ফলের থেকে অনেক বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।
- অনেক দিন ধরে জ্বর হলে মুখের রুচি চলে যায় সেই সময়, আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।
- দাঁতের সব রকম রোগ সারাতে টাটকা আমলকী ফলের জুড়ি নেই।
- পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী।
- জন্ডিস ও লিভারের সব রকম রোগে বিশেষ উপকারী এই আমলকি ফলটি।
- আমলকির শুকনো ফল রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।
- বিভিন্ন ধরনের চুলের তেল তৈরিতে আমলকী ব্যবহার হয়।
- কাঁচা বা শুকনো আমলকী বেটে ভালো করে মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে ও চুল পড়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকি খাওয়ার বিশেষ কতগুলি নিয়ম রয়েছে। যেকোনো সময় যেকোনো পদ্ধতিতে আমলকি খাওয়া যায় না।
- গোটা আমলকি চিবিয়ে খেতে পারেন। আমলকি চিবিয়ে খাওয়ার 10 মিনিট পর জল খাবেন।
- গোটা আমলকি গ্রেডারে গ্রেট করে তার থেকে রস বের করে নিন এক চামচ রস খাবেন এর বেশি খাবেন না। এই আমলকির রসে কোনভাবেই জল দেবেন না।
- আমলকি কেটে শুকনো করে শুকিয়ে নিন। এই শুকনো করা আমলকি প্রতিদিন রাত্রে খেয়ে দিয়ে হাফ চামচ করে খেয়ে জল খেয়ে নিন।
- আমলকি গরম জলে এক সপ্তাহ রেখে দিন সেই জলটি প্রতিদিন ভাব চামচ করে খান।
- একটি আমলকি কেটে রাত্রি এক গ্লাস জলে রেখে দিন, এই জলটি প্রতিদিন সকালে উঠে খেয়ে নিন।
আমলকির উপকারিতা ২৮ টি (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
১. বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকি মূত্রের পরিমাণ ঠিক রাখে। আমাদের কিডনি সুস্থ, মূত্রাশয় সংক্রমণ এবং গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে আমলকির উপকারিতা অপরিহার্য।
২.চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা রয়েছে অনেক। কাঁচা আমলকী বেটে রস প্রতিদিন চুলে লাগিয়ে দুতিন ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এভাবে একমাস মাখলে চুলের গোড়া শক্ত, চুল উঠা এবং তাড়াতড়ি চুল পাকা বন্ধ হবে।আমরা সবাই ঘন কালো লম্বা চুল চাই, আর সেটা যদি আমলকি তেল দিয়ে হয় তাহলে তো জুড়ি মেলাইভার।
চুলের বৃদ্ধি এবং ঘন কালো করতে সাহায্য করে বলে আমলকি চুলের টনিক হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। চুলের শিকড়গুলিতে শুকনো ও কাঁচা আমলকি পেটে তার মিশ্রণ তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের বৃদ্ধি এবং রঙ উন্নত হয়।
চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এমনকি চুলে অকালপক্কতা ও রোধ করে, চুলের খুসকির সমস্যা দূর করেএই আমলকি অর্থাৎ চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহুমাত্রিক। আমলকি নির্যাস দিয়ে তেল বানিয়ে চুলের গোড়াতে নিয়মিত মালিশ করলে চুলের গোড়া অনেক বেশি শক্ত মজবুত হয়।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা আপনাদের অন্ত্রের মাধ্যমে খাদ্য বহন করতে সহায়তা করে এবং আপনার অন্ত্রের গতিবেগ নিয়মিত রাখে। ফাইবার এছাড়াও আলগা পায়খানা বৃদ্ধি এবং ডায়রিয়া কমাতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়ের রোগ দেখা দেয় আর এই পায়ুর রোগ দেখা দিলে মানুষের খুব কষ্ট হয়। এই কষ্টের থেকে নিরাময় পেতে প্রতিদিন শুকনো করে গুঁড়ো করা আমলকি খান।
৪. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সমস্ত রকম সমস্যা দূর করতে আমলকি উপকারিতা একাধিক রয়েছে।
৫. মেটাবলিক ক্রিয়াকলাপ সমস্যা দূর করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলাতে প্রোটিন রয়েছে। প্রোটিন সেলুলার ডেভেলপমেন্ট, পেশীবহুল উন্নয়ন, অঙ্গ স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপের বিস্তৃত জন্য অপরিহার্য।
৬. দাঁতের যত্নে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের মাড়ি শক্ত করে। দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আমলকির উপকারিতা বহুলাংশে রয়েছে। কাঁচা আমলকি নুন দিয়ে প্রতিদিন একটা খান তাহলে দেখবেন আপনার দাঁত এর সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
৭. ডায়াবেটিস দূর করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে আমলকির উপকারিতা প্রচুর রয়েছে। আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে। রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না।
আর যদি আপনার আগের থেকেই ডায়াবেটিস হয়ে যায় তাহলে প্রতিদিন একটা করে আমলকি খান এবং এক্সারসাইজ করুন তাহলেই কিন্তু ডায়াবেটিসের পরিমাণ ঠিক থাকবে।
৮. নখের যত্নে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
সব ক্ষেত্রেই আমলকির উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু নখের যত্নে আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহু লাগছে।
৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকীতে পলিফেনল থাকায় তা ক্যানসারাস কোষের বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়। প্রতিদিন একটা করে গোটা আমলকি খেলে ক্যান্সারের বীজ শরীরে হবে না।
১০. চোখের জন্য: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
মধুর সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে পান করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি চোখের ভিতরের চাপকে হ্রাস করে, দূরের জিনিস দেখতে পায় এবং ছানি পড়তে দেয় না। ভিটামিন এ এবং ক্যারোটিনিক মেলাননিক রাতের অন্ধত্ব কমাতে এবং আপনার দৃষ্টিকে শক্তিশালী করে।
১১. বয়সের তারুণ্য বজায় রাখে: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখে। মুক্ত কোষগুলো যেমন বলিরেখা এবং বয়সের ছো্প পড়ে না। ত্বকে টানটান রাখে এমন কি ত্বকের ভেতরে থাকা টক্সিন বের করে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে।
১২. গ্যাস্ট্রিক এসিডের সমস্যা দূর করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
এক গ্লাস দুধ বা জলের মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
১৩. ফ্যাট কমাতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। শুকনো আমলকি গুঁড়ো করে প্রতিদিন রাত্রে খাওয়ার পর এক চামচ খাবে।
১৪. খিদে বাড়াতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি আমলকিতে থাকা মেটাবল মানব দেহে শক্তি বৃদ্ধি করে।
১৫. বমি বন্ধ করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
বমি বন্ধ করতে আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ। যাদের মাঝে মাঝেই বমি বমি ভাব হয় তারা আমলকি পেস্ট করে এক চামচ করে প্রতিদিন খান।
১৬. দীর্ঘমেয়াদি সর্দি কাশি থেকে উপশমপেতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আপনার যদি দীর্ঘমেয়াদি সর্দি কাশি হয় তাহলে অবশ্যই আমলকি খান। সর্দি-কাশি দূর করতে আমলকি ওষুদরুপেই কাজ করে।
১৭. হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক হিসাবে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক হিসাবে আমলকির উপকারিতা বলাই বাহুল্য। আমলকি আমাদের মানব দেহে ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে। আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময় দুর্বল হয়ে পড়ে এক্ষেত্রে আপনারা প্রতিদিন একটা করে গোটা আমলকি চিবিয়ে খান হাতেনাতে ফলাফল পাবেন।
১৮. রক্তশূন্য রক্তশূন্যতা কমাতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
অনেক ক্ষেত্রে আমাদের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বিশেষ করে মেয়েদের রক্তশূন্যতা দেখা দেয় অনেক ক্ষেত্রে। মহিলা পুরুষ বাচ্চা নির্বিশেষে সবাই প্রতিদিন একটি করে আমলকি খান। কাঁচা কিংবা শুকনো করা আমলকি দুটোই খেতে পারেন।
১৯. হজম ক্ষমতা বাড়াতে আমলকি উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
বর্তমানে নানা কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হয় শাকসবজিতে। এজন্য আমাদের হজমে অনেক সময় গন্ডগোল হয় গ্যাসের সমস্যা প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের দেখা যায় প্রায় প্রতিটি মানুষের। হজম শক্তি বাড়াতে আমলকির উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ তাই প্রতিদিন সকালে আমলকি ভেজানো জল কিংবা গোটা আমলকি খান।
২০. মানসিক চাপ কমাতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজের প্রেসার থেকেই থাকে আমাদের। এজন্য আমাদের মানসিক চাপ বাড়তে পারে এই মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আমলকি ভেজানো জল খান।
২১. অনিদ্রা দূর করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
বিগত কয়েক বছর ধরে আপনার যদি অনিদ্রা জাতীয় রোগ থাকে, এজন্য আপনার শরীরের নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারেন। তাই এই অনিদ্রা দূর করতে আমলকি প্রতিদিন একটি করে খান।
২২. ত্বক উজ্জ্বল থাকে: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
প্রতিদিন একটা করে আমলকি খেলে ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল থাকে।
২৩.ব্যথা বেদনা দূর করতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আপনার শরীরে যে কোন জায়গায় যদি ব্যথা বা বেদনা থাকে প্রতিদিন গ্রেডারে গ্রেট করে একটি আমলকির রস খান। এই আমলকির রসে চিনি কিংবা নুন কোনটাই দেবেন না।
২৪.এলার্জি প্রতিরোধে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আপনার শরীরে তাৎক্ষণিক এলার্জি হলে একটা গোটা আমলকি খেতে পারেন।
২৫.রোগ সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচাতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুমুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে, তাই আমলা শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। আমলাতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়।
২৬. মাসিক ঋতুচক্রের সমস্যা এড়াতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
আমলকিতে থাকা কিছু খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন মাসিক ঋতুচক্রের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যৌথভাবে উপকারী। এমনকি পেটের যন্ত্রণা কিংবা ব্যাথার উপশম এ আমলকি খুবই কার্যকরী।
২৭. যৌবন ধরে রাখতে: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২৮. শরীর ঠান্ডা রাখতে আমলকির উপকারিতা: (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
অনেক সময় আমাদের পেট গরম হয়ে যায়। এই সময় আমাদের নাক থেকে রক্ত পড়তে পারে আপনি যদি আমলকির রস কিংবা শুকনো করা আমলকি প্রতিদিন এক চামচ করে খান অবশ্যই আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে।
আমলকির অপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক (আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা)
হজমে ব্যাঘাত:
আমলকি বেশি খেলে হজম ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
হাইপারঅ্যাসিডিটি ট্রিগার করতে পারে:
আপনার যদি হাইপার অ্যাসিডিটি বা ভিটামিন সি খাবারের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে কোন ইতিহাস থাকে বা আগে অসুবিধা থেকে থাকে তবে আপনাকে এই ফলটি খাওয়া উচিত নয়।
মোটা হওয়ার সমস্যা:
যদি আপনি বেশী পরিমাণে আমলকী খান, তাহলে মোটা হয়ে যেতেন।
স্বাস্থ্য অবনতি:
হাইপারগ্লাইসেমিক মানুষের জন্য পরামর্শ হল যে বীজযুক্ত ফল ব্যবহার এড়াতে কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্য অবস্থা খারাপ হতে পারে।
এলার্জির সম্ভাবনা:
আমলকি বেশি খাওয়ার ফলে যাদের অ্যালার্জি বেশি থাকে তাদের রাজ্যে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমনকি রক্তাল্পতা বেশি থাকলে, তারা বেশি আমলকি খেলে রক্ত আলতা আরো বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলো মানতে sangbad10 কাউকে বাধ্য বা অনুরোধ করে না। নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন। ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
10 thoughts on “আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা ২৮ টি”