ঐশ্বর্য রায়ের মতো ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান ? শীতে ত্বকের যত্নে ২০টি ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন

ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক রাখতে নায়িকা ঐশ্বরিয়া রায় বাজার চলতি ক্রিমের উপর ভরসা রাখেন না, বরং ঘরোয়া কিছু টোটকায় যত্ন নেন তিনি নিজের ত্বকের| বলিউডের একজন বিখ্যাত তারকা হিসাবে ত্বকের উজ্জ্বলতার কারণে অনেক নাম ডাক রয়েছে ঐশ্বরিয়া রায়ের| প্রথম সারির নায়িকারা ফিটনেসের পাশাপাশি সমানভাবে সচেতন, ঐশ্বরিয়া তাদের মধ্যে একজন অন্যতম। তার মসৃণ কোমল ফর্সা ত্বক নিয়ে রীতিমতো চর্চা হয়। এর আগে বহু সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছেন বাজার চলতি ক্রিমের উপর ভরসা রাখেন না তিনি।

ওজন কমাতে তো বটেই ঐশ্বরিয়া মনে করেন ত্বক ভেতর থেকে সতেজ এবং সজীব রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবারের ওপর জোর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি|শরীর এবং ত্বক দুইয়ের যত্ন নেওয়া বিশেষ জরুরি, এমন খাওয়ার বেশি করে খান তিনি ফল এবং সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন এই নায়িকা|

সামনেই শীতকাল| তাই শীতকালীন ত্বকের যত্ন নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ঐশ্বরিয়া রায়| তার শীতকালীন রূপটানের একেবারে প্রথমে থাকে সানস্ক্রিন। এমনিতেই সারা বছর তিনি সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন| বিশেষ করে শীতকালে মাখতে ভুলে যান না, তবে সানস্ক্রিন ছাড়া ও শীতে ঐশ্বরিয়া রায়ের আরো একটি টোটকা রয়েছে| আপনিও এই টোটকা ব্যবহার করে একদিনে ফর্সা হতে পারেন| ঘরোয়া ফেসপ্যাক লাগিয়ে শীতকালে রুক্ষ শুষ্ক ত্বক থেকে কি করে ঐশ্বরিয়া রায়ের মতো ত্বক পাবেন| ভাবছেন তো কিভাবে ভাবছেন তো কিভাবে বানাবেন? চলুন তাহলে দেখে নিন কিভাবে বানাবেন ঘরোয়া ফেসপ্যাক টি-

ঘরেই বানান ঐশ্বরিয়া রায়ের গোপন ফেসপ্যাক

উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক পেতে আপনি আপনার ঘরেই ফেসপ্যাক বানাতে পারবেন-

১.অলিভ অয়েল ও কলা: 

শুধু শরীরের জন্য নয় কলা ও অলিভ অয়েলত্বকের জন্য সমান উপকারী| ত্বক ও চুল ভালো রাখতে এই কলার গুরুত্ব অপরিসীম|এতে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নে খুব উপকারী। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে কলার জুড়ি মেলা ভার|কলা ত্বকের রুক্ষ ও শুষ্কভাব প্রাকৃতিকভাবে দূর করতে অনেক কার্যকরী।

১টি পাকা কলার সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন । মিশ্রণটি আলতো হাতে মুখে লাগিয়ে নিন| ১০-২০ মিনিট মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার করুন ।

২.চন্দন: 

রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের জন্য চন্দন বেশ উপকারী|ছোপ ছোপ দাগ, চটচটে ভাব, ব্রণের সমস্যা এবং ত্বকের জ্বালা নিরাময়ের জন্য খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান হল চন্দন।

১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে ১চামচ নারকেল তেল ও ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটি ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিনবার ফেসপ্যাকটি মুখে লাগাতে পারেন।

৩.ডিমের কুসুম: 

ডিমের কুসুমে ময়েশ্চারাইজিং ফ্যাট থাকে, যা শুষ্ক ত্বককে সতেজ করে। ত্বকে জোগায় পুষ্টি। ডিমের কুসুম শরীরের জন্য বেশ উপকারী এবং ত্বক ও চুলের যত্নে এর জুড়ি মেলা ভার|

বাজারের ক্রিম ব্যবহার করেন না, শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার
বাজারের ক্রিম ব্যবহার করেন না, শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার

১টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশে যাওয়া পর্যন্ত বিট করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. কলা: 

কলা ত্বকের রুক্ষ ও শুষ্কভাব প্রাকৃতিকভাবে দূর করতে অনেক কার্যকরী।

১টি পাকা কলার সাথে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন । ২০-৩০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার করুন ।

৫.বেসন ও টকদই: 

নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে টক দই|ত্বকে মসৃণ ভাব ও  টানটান ভাব ফিরিয়ে আনতে বেসন অনেক উপকারী । আমাদের ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে বেসন ও টক দই এর ফেসপ্যাকটি খুব উপকারী|

২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে নিন । এবার ভালো করে মুখে লাগিয়ে নিন, শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন । এরপর ভেজা অবস্থায় ত্বকে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ।

শীতকালে অবশ্যই এই কাজটি করবেন তাহলে আপনার ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর হয়ে সতেজ ও ফর্সা হয়ে উঠবে

শীতকালে আমাদের ত্বক খুব রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায় অবশ্যই সারাদিনে একবার হাফ উষ্ণ গরম জল দিয়ে নিজের ত্বক পরিষ্কার করুন এবং যেকোনো একটি ফল সারাদিনে খান| রাত্রে ঘুমোনোর আগে অবশ্যই নারিকেল তেল বা বাজার চলতি কোকোনাট অয়েল ভালো করে ত্বকে মাসাজ করুন| একদিন পরেই আপনার ত্বকের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর হয়ে গেছে এবং ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে

৬.গোলাপের পাপড়ি: 

ফুল মানেই সুন্দর আর গোলাপকে বলা হয় ফুলের রানী সৌন্দর্যের উপমা দিতে বরাবরই ব্যবহার করা হয় গোলাপ ফুলের নাম। এই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে অনেকের আবেগ অনেক ভালোবাসা|ন্যাচারাল ক্লিনজার, ময়শ্চারজার, টোনার হিসাবে গোলাপের পাপড়ির উপকারিতা ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ|

১টি গোলাপ ফুলের সঙ্গে ১ চা চামচ গ্রাউন্ড ওটস এবং পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে গোলাপের পাপড়িগুলো ভালোভাবে পিষে নিন। এর পর মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। আরও ভালো ফলাফল পেতে গোলাপ জলে ভিজিয়ে একটু তুলো দিয়ে আপনার ত্বক মুছে নিতে পারেন। এভাবে সপ্তাহে এক দিন প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

৭.কমলার রস: 

কমলার রস ত্বকের টোনার হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’ । ভিটামিন ‘সি’ ত্বক মেরামত করতে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে ও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

১টেবিল চামচ কমলার রসের সঙ্গে এক থেকে দেড় টেবিল চামচ ওটমিল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। এর পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে নরমাল জল দিয়ে ফেসপ্যাকটি ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

৮.মধু: 

শীতে ত্বককে আদ্রতা পৌঁছে দিতে মধুও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ কোনওরকম ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

১চামচ লেবুর রসের সাথে মধু, পাকা পেঁপে সাথে মধু, টক দইয়ের সাথে মধু মিশিয়ে লাগাতে পারেন মুখে।  এই মিশ্রণগুলোর যে কোন একটি মিশ্রণ আপনি মুখে মাখুন এবং ১৫ মিনিট মুখে রেখে দিন এইভাবে একদিন ব্যবহার করলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ত্বক মসৃণ উজ্জ্বল ফর্সা হয়ে উঠেছে|

৯.অ্যালোভেরা: 

অ্যালোভেরা ত্বককে সতেজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য। এই প্যাকটি ব্যবহার করার পর আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।

২ টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল, ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া (ঐচ্ছিক) নিয়ে সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এর পর মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার ফেসপ্যাকটি লাগাতে পারেন।

আরও পড়ুন:( কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ১০ টি। কফি দিয়ে রূপচর্চা )

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়। মুখ স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

১০.দুধ: 

ত্বকের যত্নে সবসময় সেরা কাচা দুধ| মুখের ত্বক উজ্জ্বল করে তোলার ক্ষেত্রে দুধের জুড়ি মেলা ভার|দুধ ত্বকের স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে গন্য করা হয়। তাই যাঁদের ত্বক এই সময় বেশিই শুকনে হয়ে পড়েন তাঁরা দুধের মালাই তুলে নিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।

কাঁচা দুধের মধ্যে এক চামচ বেসন মিশিয়ে সপ্তাহে একদিন ত্বকে লাগালে ত্ব,ক ঠিক ঐশ্বর্য রায়ের মত প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল মসৃণ ও ফর্সা হবে|

১১.দুধ ও কাজুবাদাম:

 দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষ কার্যকরী ।

৮/১০টি কাজু বাদাম পানিতে ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ২ টেবিল চামচ দুধের সাথে ব্লেন্ড করে নিন ।  এবার এই মিশ্রণটি হাতে নিয়ে ত্বকে আলতো করে মাসাজ করুন । ত্বক নরম ও কোমল রাখতে ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে এটি।

১২.মধু ও পেঁপে: 

মধু ও পেঁপে ত্বককে ভেতর থেকে মসৃণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে ঠিক ঐশ্বরিয়া রায়ের মতনই|১ কাপ পাকা পেঁপের সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরী করে নিন। এবার এই মাস্কটি পুরো বডিতে লাগিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট রাখুন । এরপর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন । সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন ব্যবহার করলেই দেখবেন ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটা কমে ত্বকে এক্সট্রা গ্লো দেখা দিচ্ছে ।

১৩.নারকেল তেল:

 শীতের ত্বক আরও ভালো পেতে অন্যতম চাবিকাঠি হল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। এটিকে আপনারা যে কোনও ফেসপ্যাকে মেশাতে পারেন। আবার নারকেল তেলের সাথে কফির গুঁড়ো মিশিয়ে বডি আর পেস স্ক্রাবও বানিয়ে নিতে পারেন। 

১৪.গাজর: 

ঐশ্বরিয়া রাই এর মত টক পেতে অবশ্যই এই মিশ্রণটি একবার ব্যবহার করে দেখুন।গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন ত্বকের জন্য ভালো। শীতকালে রুক্ষ শুষ্ক ত্বক থেকে নিরাময় পাবেন গাজরের রস ও মুলতানি মাটি একসাথে পেস্ট করে সপ্তাহে একদিন মাখলেই|

১৫.কলা ও টক দই: 

পাকা কলা ভালো করে চটকে নিন। এবার সেটাও মুখে আর গায়ে লাগান। এটাও আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজার জোগাবে। এমনকী, কলার প্যাক চুলেও ব্যবহার করতে পারেন|

১৬.মুলতানি মাটি:

রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক খুবই উপকারী। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে শুষ্ক ত্বকে এটি ব্যবহার করলে ত্বক ময়েশ্চারাইজিং হয়। ১-২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও পরিমাণমতো পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখে মিশ্রণটি লাগিয়ে প্রায় ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করুন।

১৭.শসা: 

শসার মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি এবং এটি ত্বকের জ্বালা ভাব লালচে ভাব ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে এবং শসার মধ্যে আন্টি অক্সিডেন্ট থাকার ফলে ব্রণের সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে|শসা ত্বককে শীতল ও সতেজ করে। ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানির সমস্যা দূর করতে শসা খুবই কার্যকরী।

অর্ধেক শসা কুচি করে এর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করে আলতো হাতে মুখে লাগান|মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এটি লাগাতে পারেনশীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া ফেসপ্যাক রুক্ষ শুষ্ক ত্বকের যত্নে শসার ফেসপ্যাক খুবই উপকারী|

১৮.বেদানার রস:

বেদানার রস পান করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং বেদানার রস রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে| ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে বেদানার রসের উপকারিতা বহুলাংশে রয়েছে| এছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, ব্রণ কালো দাগ ছোপ এবং রুক্ষ ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল ফর্সা করে তোলে|

১ চামচ বেদানার রসের সাথে ১ চামচ কমলা লেবুর খোসা গুড়ো ভালো করে উপকরণ দুটিকে মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। দশ থেকে পনেরো মিনিট পর শুকিয়ে আসলে নরমাল জল দিয়ে ধুয়ে নিন| এইভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে শীতকালে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা হয়ে উঠবে|

( আরো পড়ুন: ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন 20 টি কার্যকরী হেয়ার কেয়ার টিপস )

১৯.গাজরের রস ও মেথি গুঁড়ো:

ত্বকের নানা রকম চুলকানি জ্বালা ভাব কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে গাজর| গাজোরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সাইড এবং বিটা ক্যারোটিন যা ত্বকের দাগ সব কমাতে সাহায্য করে।

গাজরের রসের সঙ্গে ১ চামচ মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন| পাঁচ থেকে দশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে দিন| হালকা শুকিয়ে আসলে নরমাল জল দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিন| এইভাবে সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের সমস্ত রকম দাগ ছোপ দূর হয়ে ত্বক ফর্সা মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে|

২০.মসুর ডাল ও মধুর পেস্ট:

মুখের মৃত কোষ সরিয়ে মুখের ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে মসুর ডালে জুরি মেলা ভার| ১চামচ মসুর ডাল বাটা সাথে নিন ১ চামচ মধু দুই থেকে তিন মিনিট ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করুন| তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন, হালকা তোয়ালে দিয়ে মুখটা ভালো করে মুছে নিন| এইভাবে সপ্তাহে একদিন কিংবা ১৫ দিনে একদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল হয়ে উঠবে|

ত্বককে সুন্দর সতেজ ও ফর্সা রাখতে আমাদের এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

শেয়ার করুন:
Titli Ray

আমি Titli Ray,,আমি ২০১৭ সাল থেকে লেখালেখির সঙ্গে এবং ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে জড়িত ও ভিডিও তৈরি করি। আমি আপনাদেরকে আমার অভিজ্ঞতা ও তথ্য শেয়ার করব। ধন্যবাদ।

Leave a comment